পিরামিডের অজানা কিছু বিষ্ময়কর তথ্য

পিরামিডের অজানা কিছু বিষ্ময়কর তথ্য

পিরামিডের অজানা কিছু বিষ্ময়কর তথ্য

পিরামিড রহস্য পর্ব

পিরামিডের নির্মাতা কে হতে পারে এ বিষয়ে এটা আমাদের মাথায় আসার আগে পিরামিনড টা কি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা মাথায় থাকা দরকার।

নম্বর ১

বড় পিরামিড যেটাকে খুফর বলা হয় এটা নির্মাণ করতে ২৩

লক্ষ্য ব্লক ব্যবহার করা হয়েছিল এর সর্বনিম্ন ছোট ব্লকটির ওজন ২৭ হাজার কেজি। এক একটা ব্লকের ওজন ২৭ হাজার কিলোগ্রাম থেকে নিয়ে ৭০ হাজার কিলো গ্রাম পর্যন্ত ছিল।

নম্বর ২

এ ব্লক বা পাথরের টুকরাগুলো যেভাবে ফিনিশিং করা হয়েছে কাটা হয়েছে এটা অত্যাধুনিক জামানার লোহা কাটা মেশিন এর মাধ্যমেও সম্ভব নয়।

নম্বর ৩

আমরা জানি মিশরিয়রাই সর্বপ্রথম জ্যামিতি আবিষ্কার করেন, কিন্তু আজ থেকে ৫০০ বছর আগে আধুনিক জ্যামিতির আবিষ্কার হয়। অথচ অত্যন্ত সুনিপুণ হাতে জ্যামিতি ব্যবহার করে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। খুফুর পিরামিডের সাথে তিনটি পিরামিড তিনটি তারকাকে লক্ষ্য করে।

নম্বর ৪

মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় সব সময় দেখা যায় যে লু হাওয়া অত্যন্ত বেশি তাপমাত্রা কিন্তু পিরামিডের মধ্যে সব সময় বিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা মানে এয়ারকন্ডিশন এসি।

 


নাম্বার ৫

এ পিরামিড গুলো আজ থেকে চার-পাঁচ হাজার বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে কি রড বালু সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে যে ৪০০০ বছরেও সেটা স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে অথচ বর্তমান অত্যাধুনিক জামানার রড সিমেন্টের বিল্ডিং সর্বোচ্চ 150 বছর টেকশই হয়।

নাম্বার ৬

এ পিরামিডগুলো যখন আবিষ্কার করা হয় তখনকার মানুষের হাইট ছিল সর্বোচ্চ ১০ ফিট বর্তমান ফেরাউনের লাশ এখনো মিশরে অক্ষত আছে যার দৈর্ঘ্য ৮ ফিটের উপরে নয়। (ধরলাম, মনে করলাম, সর্বোচ্চ 20 ফিট) এতো কম হাইটের মানুষ কিভাবে এত বড়ো পাথর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে আসবে? এই খুফুর পিরামিড ছিল ৪২ তলা বিল্ডিং এর সমান 1889 সালে আইফেল টাওয়ারের পূর্ব পর্যন্ত এ চার হাজার বছর এই পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ স্থাপনা ছিল পিরামিড। এত বড় বড় পাথরের টুকরা গুলো এত উপরে এতো কম হাইটের মানুষের পক্ষে কিভাবে স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল!?

নম্বর ৭

পিরামিড নির্মাণের পর পরবর্তী প্রজন্ম থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী কোন ব্যক্তি খুঁজে পাইনি পিরামিডে ব্যবহৃত পাথরগুলো ঠিক কোথায় থেকে কিভাবে নিয়ে আসা হয়েছিল।

নাম্বার ৮

পিরামিডের মধ্যে কি আছে কেন নির্মাণ করা হয়েছিল এত অর্থবহুল ভাবে এটা যাচাইয়ের জন্য অত্যাধুনিক জামানায় বিজ্ঞানীরা ভেতরে প্রবেশ করার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছে সর্বশেষ ক্যামেরা পাঠিয়েছে ডানে বামে দুই একটি ছবি তোলার পর ক্যামেরাটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে গেছে তারপর থেকে নিয়ে সেখানকার সরকার প্রশাসন গবেষণা নিষিদ্ধ করেছে। তাহলে ক্যামেরাটি বন্ধ করলো কে? ভেতরে কারা আছে কি করছে তারা বাহিরের মানুষকে তাদের বিষয় সম্পর্কে জানতে দিচ্ছে না

নাম্বার ৯

আমেরিকা পিরামিডের দেশ নয় পিরামিড তাদের প্রতীক নয় অথচ ওয়ান ডলারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে পিরামিডের ছবি এবং মাথার উপর দেখা যাচ্ছে একটি চোখ কি এর রহস্য পিরামিড নির্মাতার দিকে ইঙ্গিত করছে না তো!?

নম্বর ১০

বর্তমান অত্যাধুনিক জামানা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নাসার বিজ্ঞানীরা ভিনগ্রহেএলিয়েনের সন্ধ্যান পেয়েছে বলে আত্মতৃপ্তির শেষ নেই মনে হচ্ছে পুরো মহাবিশ্বের তথ্য হাতে মুঠোয় আনতে পেরেছে অথচ এর পেছনেও তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রমাণাদি নেই। অথচ আজ থেকে চার হাজার বছর আগে নির্মিত পিরামিডের দেয়ালে এলিয়েনের চিত্রঅঙ্কন করলো কে!? বর্তমান আধুনিক জামানায় বিদ্যুতের আবিষ্কার হলো অথচ চার হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন যুগে হেলিকপ্টার ও বৈদ্যুতিক বাল্বের ছবি কে কিভাবে পিরামিডের দেয়ালে অঙ্কন করল !? কে জানত তখন থেকে ৪ হাজার বছর পর সাবমেরিন এর আবিষ্কার হবে আর সে সাবমেরিন 4000 বছর পূর্বেই পিরামিডের দেয়ালে অঙ্কন করল !? বিবেকের চশমা দিয়ে দেখতে থাকুন ভাবতে থাকুন সব উত্তর এসে যাবে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top